ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে আখতারের মামলা ভুয়া তথ্য প্রচার প্রতিরোধে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ ইউএনডিপির প্রতিনিধিদলের বরিশাল জেলা আদালত পরিদর্শন ফেব্রুয়ারিতেই ভোট কেউ ফাউল করতে নামবেন না : সিইসি অক্টোবরেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি কে জে এফ ডি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে কাঁদলেন হাদী পোরশায় শিক্ষকদের সাথে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর মতবিনিময় পোরশায় ৩৫০ টি আমগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা আমতলীতে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির শাহিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা মা ইলিশ সংরক্ষণে আমতলীতে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত মার্কিন কোম্পানিকে বিনিয়োগের আহ্বান দেশে জঙ্গিবাদ নেই-এটিইউ প্রধান গাজীপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ বছরের সেরা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেলো ওয়ালটন জেনেভা ক্যাম্পে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম বগুড়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১ সিজারের সময় রোগীর মূত্রথলি ও ভুঁড়ি কাটলেন ভুয়া চিকিৎসক চিটাগাং চেম্বার নির্বাচনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড

বিপুলসংখ্যক মামলার ধীরগতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল

  • আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন
বিপুলসংখ্যক মামলার ধীরগতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
বিপুলসংখ্যক মামলার ধীরগতি নিষ্পত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। বর্তমানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন শাখা রেলওয়ের ক্যাটারিং, পার্কিং স্পেস, ভূমি, নিয়োগ জটিলতাসহ নানা কারণে দায়ের হওয়া এক হাজার ৪৫০টি মামলা পরিচালনা করছে। তবে সেগুলোর ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত মামলা। তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬৫টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫৪০টি, জজ কোর্টে ৭৭০টি, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে ৭৫টি রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০টি মামলা দায়ের হলেও মাত্র একটি থেকে দুটি নিষ্পত্তি হচ্ছে। দায়ের হওয়া মামলাগুলো বছরের পর বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এমনকি অনেক মামলার বাস্তব কোনো ভিত্তিও নেই। বরং ওসব মামলাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। ওসব মামলা নিষ্পত্তি নিয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের তেমন কোনো আগ্রহও নেই। সে কারণেই বছরে ৪০ থেকে ৫০টি মামলা দায়ের হলেও মাত্র ৪-৫টি নিষ্পত্তি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, যাত্রীদের কার পার্কিং করার শর্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সামনে ১২ হাজার বর্গফুটের কার পার্কিং ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু ওই পার্কিংটি ইজারা নেয়া প্রতিষ্ঠানটি ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিগত ২০২৩ সালের শেষের দিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষনতুন করে ইজারা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। আর ইজারা নেয়া প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে। নিয়ম না থাকায় রেলওয়ে ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ফলে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটি গত বছর উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করে। আর ওই মামলার কারণে নতুন করে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে ইজারাদার নিয়োগ এখনো আটকে আছে। তাছাড়া পার্কিং স্পেসের মতো মামলার কারণে ঝুলে আছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার সরবরাহ) পরিচালনায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াও। বিগত ২০২৩ সালে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের জন্য নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ ও নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তাতে ৪৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন ফরম সংগ্রহ করে। তার মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দেয়। তারা প্রত্যেকে রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) অর্থ জমা দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট কমিটি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করে। তবে আবেদনকারীদের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করে। মামলাটি এখনো চলমান আছে। মামলা শেষ না হওয়ার কারণে ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করা যাচ্ছে না।
এদিকে মামলা কম নিষ্পত্তি হওয়া প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল আইন শাখায় জনবলের অনেক বেশি সংকট। সেখানে মাত্র দু’জন আইন কর্মকর্তা রয়েছে। ৫টি কোর্ট পরিদর্শকের পদ থাকলেও একজনও কর্মরত নেই। স্টেনো টাইপিস্ট, প্রধান সহকারী, অফিস সহকারীর পদও শূন্য রয়েছে। এমনকি যারা মামলা পরিচালনা করবেন, আইনজীবীও রয়েছে কম। তাছাড়াও একটি মামলা পরিচালনা করতে আইনজীবীকে যে পরিমাণ অর্থ দেয়া হয় তা অতি নগণ্য।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বাণিজ্যিক) মো. মামুন মিয়া জানান, মামলার কারণে রেলওয়ে স্টেশনের কার পার্কিংয়ের ইজারাদার নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। মামলা শেষ হলে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। শুধু কার পার্কিং নয়, মামলার কারণে রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে শুরু করে অনেক কিছুরই নতুন টেন্ডার আহ্বান করা যাচ্ছে না। তাতে রেলওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে মামলার নিষ্পত্তির হার খুবই কম। দশটি মামলা দায়ের হলে একটির নিষ্পত্তি হয়। বর্তমানে এক হাজার ৪৫০টির মতো মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ